আগামী ৯ আশ্বিন (২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭) মঙ্গলবার ষষ্ঠীবিহিত পূজার মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ পূজা উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, পূজামন্ডপ, বিজয়া শোভাযাত্রা ও বিসর্জন কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিম্ন বর্ণিত নিরাপত্তা পরামর্শসমূহ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছে।
১. সকল পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা।
২. প্রতিটি পূজা মন্ডপ ও সমগ্র এলাকায় পর্যাপ্ত ও বিকল্প আলো (জেনারেটর) এর ব্যবস্থা রাখা।
৩. প্রতিটি পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইসার রাখা।
৪. বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডপসমূহে আর্চওয়ে গেইট স্থাপন করা।
৫. প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রবেশ ও বাহিরের জন্য আলাদা আলাদা প্রবেশ ও বাহির গেইট মজবুতভাবে স্থাপন করা।
৬. নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক প্রবেশ বা বাহির গেইটের ব্যবস্থা রাখা।
৭. পূজামন্ডপে আগত দর্শনার্থীদের যথাযথভাবে দেহ তল্লাশী করার জন্য ভলানটিয়ার নিয়োগ করা।
৮. প্রতিটি পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে তাদের চিহ্নিত করার জন্য আলাদা পোষাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র এবং প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের ডান বাহুতে “সেচ্ছাসেবক” লেখা আর্মড ব্যান্ড পরিধান করা।
৯. নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশীর জন্য পর্যাপ্ত নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা।
১০. স্বেচ্ছাসেবকদের এসবি দ্বারা ভেটিং করানো এবং তালিকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদরদপ্তররে প্রেরণ করা।
১১. নিরাপত্তা কর্মী বা স্বেচ্ছাসেবকদের “সেচ্চাসেবক” লিখিত আর্মড ব্যান্ড পরিহিত থাকতে হবে।
১২. শোভাযাত্রায় পি-এ সেট ব্যবহার না করা।
১৩. পূজা মন্ডপ ও আশপাশ এলাকায় মেলা না বসানো।
১৪. কোনরূপ আতসবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
১৫. পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য ওয়াশরুমসহ আবাসনের ব্যবস্থা করা।
উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয় দশমীর দিন বিভিন্ন পূজা মন্ডপ হতে বেলা ১৪.০০ টার পূর্বেই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌছানোর ব্যবস্থা করা, ১৫.০০ টার মধ্যে শোভাযাত্রা শুরু করা এবং ১৮.০০ টার মধ্যে প্রতিমা ওয়াইজঘাটে পৌঁছাতে হবে। ওয়াইজঘাটে সকল প্রতিমা রাত ২০.০০ টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।