ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর শাহআলী এলাকায় মুরগীর পিকআপ ডাকাতির ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে শাহআলী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের নাম- হৃদয়, সোহেল রানা ও রায়হান চৌধুরী। এসময় তাদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত এক্স-২ পিকআপ ও ভিকটিমের মুরগীর পিকআপ, একটি সুইচ গিয়ার এবং একটি চাপাতি উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
আজ ১০ জুলাই, ২০২১ (শনিবার) সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন পিপিএম।
তিনি বলেন, গত ০৬ জুলাই, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভিকটিম ৭০০ পিস ব্রয়লার মুরগীসহ কল্যাণপুর নতুন বাজারে বিক্রির জন্য রওনা করে। রাত ০২:০০ টায় শাহআলী থানার চিড়িয়াখানা লেকের দক্ষিণে এইচ ব্লকে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন লোক তাদের বহনকারী পিকআপ দিয়ে গতিপথ রোধ করে। ডাকাতরা ভিকটিমদেরকে জোরপূর্বক পিকআপ থেকে নামিয়ে নগদ টাকা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে লাথি ও ছুরির বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর ভিকটিমদের ডাকাতরা তাদের বহনকারী পিকআপে উঠিয়ে সাভার ডেইরী এলাকায় ফেলে দিয়ে পিকআপসহ মুরগী নিয়ে চলে যায় । এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শাহআলী থানায় মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে শাহআলী থানা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, এ ডাকাতি মামলার ঘটনা তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান সনাক্ত করে ৯ জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৫ টায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হৃদয় ও সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত হতে বাদীর লুন্ঠিত পিকআপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একই দিন বিকাল ৪:১৫ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে রায়হান চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ, একটি সুইচগিয়ার ও চাপাতি উদ্ধারমূলে জব্দকরা হয়।
তিনি আরও জানান, মামলায় জড়িত অন্যান্য পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামালসহ মুরগী উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত গ্রেফতারকৃত হৃদয় ও সোহেল রানাকে ০২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতারকৃত রায়হান চৌধুরী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।