ডিএমপি নিউজ: রাজধানীর শাহআলীতে হত্যা মামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর শাহআলী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল, মোঃ হুমায়ুন কবির, মোঃ আল আমিন আহম্মেদ ও মোঃ হৃদয়। গ্রেফতারকৃত একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হলো না।
শাহআলী থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান ডিএমপি নিউজকে বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ভোরে ঝালকাঠি জেলা হতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক বালককে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন বেলা ১১ টায় শাহআলী থানা এলাকা হতে মোফাজ্জল, হুমায়ুন, আল আমিন ও হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভিকটিম শাহদাৎ হোসেন হাসিব, গত ৬ মাস পূর্বে শাহআলী থানার মল্লিক টাওয়ারের টপটেন ফ্যাক্টরির কাটিং সেকশনে চাকরি করতেন। করোনা ভাইরাস এর কারণে চাকরি ছেড়ে ৬ মাস পূর্বে গত জুন মাসে বাড়িতে চলে যান। গত ১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে টপটেন ফ্যাক্টরির কর্মী মোফাজ্জল হোসেন বাদীর স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে হাসিবকে চাকরিতে যোগদান করার জন্য বলে। হাসিব গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ সকাল ৯:০০ টায় ফ্যাক্টরিতে যোগদান করেন। গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ রাত অনুমান ১১:৩০ টায় ফ্যাক্টরি ছুটি হলে শাহদাৎ হোসেন হাসিব ফ্যাক্টরি হতে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পথে শাহআলী থানার ই-ব্লকের ৬ নং রোডে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাসিবকে ধারালো ছুরি দ্বারা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। হাসিবকে গুরুতর অবস্থায় আশেপাশের লোকজন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ডিএমপির শাহআলী থানায় ভিকটিমের বাবা হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলা রুজুর পর তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করেন। ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে হৃদয় ও গ্রেফতারকৃত অপ্রাপ্ত বালক হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে মর্মে জানান শাহআলী থানার অফিসার ইনচার্জ। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত আছে।