আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন দেশের শিক্ষাখাতের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে বলে প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীগণের মেধা ও জ্ঞানের চর্চাকে আরো শাণিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে ভূমিকা রাখবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষাখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ–২০১৭ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ প্রত্যাশার কখা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ‘আমরা যুগোপযোগী জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করছি। আমরা ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছি। এ সকল বিদ্যালয়ের ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষকের চাকুরি সরকারি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।’
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, স্কুল ও কলেজের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনসহ দেশে নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে যাচ্ছে। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত ও বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্রেইল বই বিতরণ করা হয়েছে। কারিগরি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১২৫টি উপজেলায় আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এ সকল পদক্ষেপে দেশে শিক্ষার সুযোগ ও হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের অভিনন্দন এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীসহ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।