গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়া। সেই যুদ্ধের পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে দলে দলে শরণার্থীরা এসে আশ্রয় নিয়েছেন তুরস্কে। শান্তির আশায়। এদের মধ্যে মহিলা শিশুর সংখ্যাও কিন্তু কিছু কম নয়। তবে এই শরণার্থী শিশুদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বেশ কিছু সমস্যা। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তুরস্কে বসবাসকারী ৪০শতাংশ সিরিয়ার শিশুরাই পড়াশুনা করেনা। এমনই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইউনিসেফের সমীক্ষায়। এরফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে একের পর এক প্রজন্ম।
প্রায় ৪লক্ষ ছাত্র ছাত্রী এই মুহূর্তে পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত। তবে সম্প্রতি এই দুর্দশার সামান্য উন্নতি হয়েছে। তুরস্কে বসবাসকারী ৫লাখ শরণার্থী শিশু এখন বিদ্যালয়মুখী। সংস্থার ডেপুটি নির্বাহ পরিচালক জাস্টিন এই বিষয়টিকে বিশাল কৃতিত্ব দিয়েছেন। অবশ্য এর পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, এই সংখ্যাটিকে আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার তরফেও একটি সমীক্ষা পেশ করা হয়। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, তুরস্কে সিরিয়া শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ২.৭মিলিয়ন। এরমধ্যে ১.২বিলিয়নই হল শিশু। ইউনিসেফের তরফ থেকে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে, যেটিতে বলা হয়েছে বিশ্বের মধ্যে তুর্কিতেই সবথেকে বেশি সংখ্যক সিরিয়া শরণার্থী রয়েছে।
তুর্কির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল অবধি মোট ১লাখ ৮০হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে সিরিয়ায়। আর এই পরিমাণ শিশু যদি অশিক্ষিত হয়ে থাকে তাহলে তা দেশের জন্য খুবই চিন্তার বিষয় বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।