নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশ্বকে চমকে দেয় জাপান । পাবলিক প্লেসে শিশুদের কান্না পছন্দ করে না জাপানিরা! কিন্তু বাচ্চাদের কান্নাও কি থামিয়ে রাখা যায়? প্রযুক্তির এই দেশটি বলছে, হ্যাঁ যায়। শুধু তাই নয়, তার জন্য নতুন একটি পদ্ধতিও বের করে ফেলেছে তারা!
জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘হন্ডা’ দাবি করেছে যে এমন একটি খেলনা গাড়ি তারা আনতে চলেছে, যা থামিয়ে রাখতে সাহায্য করবে বাচ্চাদের কান্না! হন্ডা’র দাবি, মাতৃজঠরে থাকাকালীন একটি বিশেষ শব্দ বা কম্পন অনুভব করে শিশুরা। এই খেলনা গাড়িটিরও ইঞ্জিনের শব্দ বা কম্পন হবে ঠিক সেই রকমই। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে এই গাড়িটি চালু করলেই সেই শব্দ বা কম্পন বাচ্চাদের কান্না থামাতে সাহায্য করবে বলেই দাবি এই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার। এই গাড়িটির নাম ‘সাউন্ড সিটার’ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘হন্ডা’। তাদের বহু গাড়ির মডেল থেকে ‘এনএসএক্স’ মডেলটিকেই এই খেলনা গাড়ির মডেল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
বাচ্চাদের কান্নায় প্রায়শই জনগনের অস্বস্তির সম্মুখীন হতে হয় মা–বাবাদের। এই অমানবিক প্রথার কারণে সম্প্রতি উত্তাল হয়েছে জাপানের রাজনীতিও। এর প্রতিকারের জন্য ২০১৬ সালে একদল জাপানি মহিলাকে পথেও নামতে দেখা যায়। ‘শিশুরা কাঁদলে আমার কোন সমস্যা নেই’ লেখা স্টিকার দেওয়া হয় পথচলতি জনগণকে। শিশুদের কান্নায় যাতে অন্যেরা বিরক্তি বোধ না করেন অথবা বাবা–মা’কে দোষারোপ না করেন, তার জন্যই এই প্রচার বলে দাবি করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চাদের কান্নার ফলে অপ্রস্তুত হতে হওয়ার সমস্যাই জাপানে জন্মের হার অত্যন্ত কম হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এখন এই সমস্যা থেকে জাপানের বাবা–মা’য়েদের ‘হন্ডা’র এই নতুন খেলনা গাড়ি মুক্তি দিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।