শিশুদের ব্যায়ামের বিষয়টি পুরোপুরি তাদের ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না। মা-বাবাকে শিক্ষকের ভূমিকায় থাকতে হবে। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গী হতে হবে। ওয়ার্ক আউটের সময় বাচ্চাদের ভঙ্গি ঠিক থাকছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে হবে। অন্যথায় হিতে বিপরীত হতে পারে। তাদের অনুশীলনে তাড়াহুড়া করা যাবে না। এতে করে ইনজুরির আশঙ্কা থাকে। এ কারণে ছোটদের ব্যায়ামের সময় সাবধান হওয়াটা জরুরি। আবার এমন কিছু ব্যায়াম করানো যাবে না, যাতে তাদের মধ্যে শরীরচর্চার প্রতি অনীহা বা ভীতি চলে আসে।
বার্ড ডগ হোল্ড : দুই হাত ও দুই হাঁটু মাটিতে রেখে হামাগুড়ি দেওয়ার অবস্থায় থাকতে হবে। এবার ডান হাত সামনে তুলে বাঁ পা পেছনের দিকে শূন্যে টানটান করাতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে যে এ সময় পিঠ যেন সোজা থাকে। শরীরটা যেন এদিক-ওদিক বেশি না দোলে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড করার পর হাত ও পা বদল করতে হবে। অর্থাৎ এবার বাঁ হাত সামনে তুলে ডান পা পেছনের দিকে টানটান করতে হবে। এভাবে কয়েকবার করাতে হবে। এ ব্যায়ামে পিঠ ও কোমরের পেশি সুদৃঢ় হবে। তা ছাড়া ভারী ব্যাগ বহন, ঝুঁকে পড়াশোনা করার ফলে কোমরে ব্যথা হওয়ার শঙ্কা থেকে তাদের দূরে রাখবে।