ডিএমপি নিউজঃ বাচ্চাদের পড়ার ঘর যদি সাজানো-গোছানো থাকে তাহলে সেই পড়ার ঘরটিতে তৈরি হয় সুন্দর একটি মনোরম পরিবেশ, আর এই পরিবেশে বাচ্চাদের মনে পড়তে বাসার আমেজ এমনিতেই চলে আসে। এ জন্যে বিশেষজ্ঞরা সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসে পড়ার ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চাদের পড়ার ঘর অবশ্যই খোলামেলা হতে হবে। উত্তর দিকে খোলা জানালা থাকলে আরো ভালো হয় যদি তা না হয় তাহলে অন্তত আলো-বাতাস আসার জন্য একটি বড়সড় জানালা অবশ্যই রাখবেন। জানালার পাশে ছোট ছোট ফুলের গাছ থাকলে খুব ভালো হয়, এতে ঘরের শোভা বাড়বে। সকাল সকাল ঘরে রোদ ঢুকলে ঘরটি সুন্দর ঝরঝরে থাকবে, পড়তে বসলে মন ভালো হয়ে যাবে।
পড়ার ঘর হতে হবে নিঃস্তব্ধ, কোলাহল থেকে অনেকটা দূরে, তাতে মনযোগ ভালো হবে। টেলিভিশন একেবারেই রাখবেন না। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলে, স্পিকারের ভলিউম অত্যন্ত কম করে রাখুন। অনেকের এলোমেলো করে বই ছড়িয়ে রাখার অভ্যাস, এটা বাদ দিতে হবে। পড়ার পর বইটি রেখে দিতে হবে শেলফের নির্দিষ্ট তাকে।
বুক শেলফের ধুলা-ময়লা নিয়মিত পরিস্কার করে বই খাতাগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে। আপনার বাড়িটি যদি ছোটও হয় তাহলেও নিরিবিলি জায়গা বেছে নিন পড়ার ঘর তৈরির জন্য। খোলামেলা এবং কোণার দিকে হলে ভালো হয়। আর পড়ার নেশা থাকলে বই বেশি হলে দেয়াল ঘেঁষা তাক বানিয়ে নিতে পারেন। পরপর বই রাখলে ঘরের ছবিও বদলে যাবে এবং পড়ার ঘর হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়।
দিনের বেলা প্রকৃতির আলোয় আলোকিত হোক পড়ার ঘর। আর বিকেলের পর থেকে পড়াশোনার জন্য রাখতে পারেন হাই পাওয়ারের টেবিল ল্যাম্প।
পড়ার টেবিলে বেশি জিনিসপত্র রাখবেন না। যতটুকু না রাখলেই নয়, ততটুকুই। বই, খাতা, কলমদানির পাশাপাশি বরাবর থাকতে পারে একটা ছোট্ট ফুলদানি, প্রিয় কারও পোস্টার। যা আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
এছাড়াও পড়ার জন্য ছোটদের পছন্দের খবার বা নানাভাবে পুরস্কৃত করুন। ঠিকমতো পড়লে আইসক্রিমা কিংবা চকলেট কি মন্দ হয়? অথবা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পড়লে ৫ মিনিট খেলার সুযোগ। আর এসবের লোভে ঝটপট পড়ার কাজটা সেরে নিবে বাচ্চারা। শিশুটি যা পছন্দ করে দ্রুত পড়া শেষ করলে তা দেয়ার লোভ দেখাতে পারেন।
ছোট বা বড় যে কাজই করুক না কেনো, তার সব কাজের প্রর্শসা করুন, শিশুটিকে উৎসাহ দিন। শিশুরা প্রশংসা বা উৎসাহ পেতে দারুণ ভালোবাসে। কাজেই পড়াশোনার কারণে যদি এ প্রশংসা পাওয়া যায়, তবে তা করতে পিছপা হয় না তারা। তবে কখনো মন খারাপ করার মতো কিছু করবেন না বা বলবেন না।