আজকের দিনে সিলেটের শমসের নগরে আক্রমণ চালিয়ে টেংরাটিলা ও দোয়ারাবাজারকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তি বাহিনী। তাদের অপারেশনের মুখে পাকিস্তানিরা সিলেটের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ব্যারাক গুটিয়ে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে পরাজিত হতে থাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
আর স্পষ্ট হতে শুরু করে বাঙালির বিজয়। অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাস আগে যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, সেই যুদ্ধে বিজয় এখন সুনিশ্চিত।
আর ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তৃতায় উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানি সৈন্য সরিয়ে নিতে ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান।
যে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ ইতিহাস সৃষ্টিকরা ভাষণে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে স্বাধীনতার ডাক দেন, সেই উদ্যানেই ১৬ ডিসেম্বর পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানের জেনারেল নিয়াজি। বিশ্বদরবারে লাল-সবুজে ফুটে উঠে ‘বাংলাদেশ’ নাম।
আর এদিন থেকেই ইতিহাসের নতুন এক মোড়ে এসে দাঁড়ায় হাজার বছরের বাঙালি জাতিসত্তা। ডিসেম্বর তাই বাঙালি ও বাংলাদেশের গৌরব আর অহঙ্কারের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
বিজয়ের মাসের প্রথম দিন বিভিন্ন সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিজয়ের মাসকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ, মানববন্ধন, বিজয় র্যালি, মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এদিনের কর্মসূচি পালন করা হবে।