ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘শেখ রাসেল শিশু গ্রন্থাগার’। গত পনের মাসে প্রায় ২০ হাজার পাঠক এই পাঠাগার ব্যবহার করেছেন। ক্রমেই পাঠক সংখ্যা বাড়ছে।গত এক বছরে প্রায় ৪০ হাজার পুস্তকের সমাহার ঘটেছে এই পাঠাগারে। পাঠাগারের বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে তিনটি বিশেষ কর্নার।
কর্নারগুলোর নাম হচ্ছে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্নার’, মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ এবং ‘শেখ রাসেল কর্নার’। সরকারের শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গ্রন্থাগারটি প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। গত বছরের অক্টোবর মাসে পাঠাগারটি চালু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠাগার উদ্বোধন করেন।
শিশু একাডেমির মূল ভবনের দোতলায় প্রায় পাঁচ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গায় পাঠাগারের অবস্থান। অত্যন্ত মনোরম পরিবেশ। বইপাঠের জন্য রয়েছে বিশটি পড়ার টেবিল। প্রাকৃতিকভাবে পাঠাগারের ভেতরে আলোর সঞ্চালন হয়। দিনের বেলায় ভবনের বাইরের আলো পুরো পাঠাগারটিকে আলোকিত করে রাখে। ফলে দিনের সময়ে বিদ্যুত ব্যবহার করা হয় না।
পাঠাগার সপ্তাহের সাতদিনই খোলা থাকে। সময় হচ্ছে সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। পাঠাগারে প্রতিদিন গড়ে সত্তরজনের মতো পাঠক আসছেন। বৃহস্পতিবার এবং শুক্র ও শনিবার ছুটির দুইদিনে পাঠক আসেন বেশি। এই তিনদিন শতাধিক লোক পাঠগার ব্যবহার করছেন। শুধু শিশু-কিশোর নয়, গবেষক, লেখক, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিসেবী, সাংবাদিক, শিল্পীসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা লেখালেখি করেন-তারাও এই পাঠাগার ব্যবহার করছেন। তবে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তাদের পরিবারের সদস্যরাও আসছেন পাঠাগারে।