১২০ একর জমির ওপর ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি স্থাপন প্রকল্প’ গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলায় হবে এই প্রকল্প। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাঁত ও তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্ট ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় এটি অনুমোদন হলে চলতি অর্থ বছরেরই এই বৃহৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
বাসস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব জসীম উদ্দিন আহমেদ রোববার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিয়ম ও বিধি অনুযায়ী ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি স্থাপন প্রকল্প’ গ্রহণের কাজ এগিয়ে চলছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হলে চলতি অর্থ বছরেই বৃহৎ এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে। প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ সাল পর্যন্ত এবং ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯’শ ১১ কোটি টাকা।’
তিনি জানান, এই প্রকল্পের মধ্যে তাঁত শিল্প এবং তাঁত শিল্প সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রয়োজনীয় অকাঠামো উন্নয়ন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, রাস্তা, খেলার মাঠ, পুর্নবাসনের জন্য আবাসিক ফ্লাটসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হবে।
সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিশ্বখ্যাত ‘মসলিন’ কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক প্রণয়নকৃত প্রকল্পসমূহ অনুমোদন ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বছরে ৬৮ কোটি মিটার (বিবিএস) থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ কোটি মিটারে উন্নীত হবে। ফলে উৎপাদিত তাঁত বস্ত্র দ্বারা দেশের বর্তমান অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদাপূরণ ৪০ শতাংশ থেকে ৫৫ শতাংশে উন্নীত হবে। এছাড়া, তাঁত বস্ত্রের রপ্তানিতে বছরে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
তাঁত বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত বস্ত্রের মূল্য সংযোজনের পরিমাণ বছরে ১ হাজার ২২৭ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। ফলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।