টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে রাজশাহী তুলেছিল ১৬৯ রান। জবাবে দিতে নেমে ১৯ ওভার শেষে ঢাকার স্কোর ১৬১। অথার্ৎ শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য ঢাকার দরকার ৯ রান। কিন্তু তুলতে পারল মাত্র ৬ রান। আর তাতেই নেইল বাইটিং এই ম্যাচে ২ রানের জয় পায় রাজশাহী।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলীয় ৬৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে যখন দিশেহারা রাজশাহী তখন দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও মেহেদি। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৯ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন তারা। নুরুল করেন ৩৯ রান। এদিন ব্যাটিং ও বোলিং অসাধারন নৈপূর্ণ্য দেখান অলরাউন্ডার মেহেদী। দলের বিপদের সময় ৩২ বলে ৫০ রানের এক মহামূল্য ইনিংস খেলেন তিনি। দলের পক্ষ্যে সর্বোচ্চ রান তারই।
১৯ তম ওভারে ফরহাদকে তিনটি ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন ঢাকার মুক্তার আলী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। কারন মেহেদীর করা শেষ ওভারে ব্যর্থ হয় তাদের পরিকল্পনা। তুলতে পারেন মাত্র ৬ রান। মেহেদি ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। অলরাউন্ডার এই পারফমেন্সে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি ২০ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করলো মিনিষ্টার গ্রুপ রাজশাহী।