তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) খাতে রাশিয়ার সাথে আরো বেশি সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করার প্রত্যাশা নিয়ে রাজধানীতে শেষ হলো ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ আইটি সামিট (সম্মেলন)-২০১৮’।
সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ব মানের ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। আজ রোববার আইসিটি টাওয়ারে এই সামিট (সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হয়।
আইটি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইটি-সামিটে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম স্বাগত বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে (রূপপুর,পাবনায়) একসাথে কাজ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, এতে দুই দেশের আস্থার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার সারা দেশে হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করছে। রুশ ফেডারেশন এসব পার্কে বিনিয়োগ করতে পারে। সরকার দেশকে হার্ড-ওয়্যার ও সফটওয়্যার মেনুফ্যাকচারিং এর হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের আইসিটি সেক্টরে এক মিলিয়ন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে এবং এই খাত থেকে বছরে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন করতে চায়। আইসিটি শিল্পে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য হাই-টেক পার্ক বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে রুশ আইটি এক্সপার্ট আনঝিগানোভ ইলিয় বলেন, এই উন্নয়নের ধারা আরো দ্রুত এগিয়ে নিতে ই-গভর্নমেন্ট, স্মার্ট-সিটি, হেলথ-সার্ভিস, স্মার্ট-পাওয়ার ও এনার্জিসহ সকল সেক্টর দ্রুত ডিজিটালাইজ করতে হবে। রাশিয়া বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশীদার হতে প্রস্তুত বলে তিনি জানান।
রুশ সরকার পরিচালিত উন্নত তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্কলকোভো ইনোভেশন সেন্টারের স্কলকোভো ফাউন্ডেশন মূলত এনার্জি, স্ট্রাটেজিক কম্পিউটার প্রযুক্তি, বায়ো-মেডিসিন, পারমাণবিক প্রযুক্তি এবং মহাকাশ প্রযুক্তি এই পাঁচটি সেক্টরে কাজ করে।
আইটি সম্মেলনে স্কলকোভো ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বাংলাদেশে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা কয়েকটি আইটি প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে-সফ্টলাইন গ্রুপ, গ্রুপ-আইবি গেস ডিজিটাল ডিজাইন।
আইটি সম্মেলনে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা, ই-গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সিটি, ডাটা সেন্টার, আই-ক্লাউড, ফরেনসিক ল্যাবসহ অন্যান্য আইটি সেক্টরে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।