প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে দীর্ঘ মেয়াদী ও টেকসই এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কীম চালুর জন্য মালিক এবং শ্রমিক সংস্থাগুলোর কার্যকর সহযোগিতা কামনা করেছেন । তিনি উৎপাদন জোরদার করতে শ্রমিকদের প্রতি মালিকপক্ষকে আরো সহানুভূতিশীল হবারও আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা শ্রম দিয়ে কলকারখানাগুলো সচল রেখে উৎপাদন বাড়াচ্ছেন সেইসব শ্রমিকদের কল্যাণে আমি মালিকপক্ষকে আরো সহানুভূতিশীল হতে বলবো। একই সঙ্গে আমি চাই শ্রমিকরাও যে সব কলকারখানা থেকে তাঁদের জীবন-জীবিকার কর্মসংস্থান হয় সেগুলো সচল রাখতে আরো আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য এবং তাদের পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, শ্রম মন্ত্রণালয় সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার।
শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো অকুপেশনাল ডিজিস হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়ে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, হাসপাতালে ৩৩ শতাংশ শয্যা শিল্প কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য রিজার্ভ থাকবে এবং শ্রমিকরা কম খরচে এ হাসপাতালে পেশাগত রোগ ব্যধির চিকিৎসা নিতে পারবেন।
শ্রম আইন, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন, তহবিলে স্থিতির পরিমান ৮ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ কোটি টাকায় উন্নীত করণ, তহবিল থেকে ১ হাজারের বেশি শ্রমিককে সাড়ে ৫ কোটি টাকা প্রদানসহ শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে শ্রমিকদের ৩৭ জন মেধাবী সন্তান এবং দুর্ঘটনায় নিহত ২৭ জন শ্রমজীবীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন।