বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ জমজম কুয়োর পানিকে অত্যন্ত পবিত্র ও অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন বলে মনে করেন। প্রতি বছর যে লক্ষ লক্ষ মুসলিম তীর্থযাত্রী সৌদি আরবে যান, তাদের বেশির ভাগই জমজমের পানি নিয়ে দেশে ফেরেন। আর এবার সৌদি আরব সরকার সেই কুয়োর ব্যাপক সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদের পরিচালনার দিকটি দেখাশুনো করে যে প্রেসিডেন্সি, তার চেয়ারম্যান শেখ আবদুল রহমান আল সুদায়েস জানিয়েছেন জমজমের কুয়ো মেরামতে প্রায় সাত মাস মতো সময় লাগবে। তবে আগামী বছর রমজানের আগেই এই সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
মুসলিমদের কাছে অতি পবিত্র কাবা থেকে এই জমজমের কুয়োর দূরত্ব মাত্র কুড়ি মিটারের মতো। নতুন যে সংস্কার করা হচ্ছে, তাতে কুয়োর কাছে পৌঁছনোর সুযোগ বাড়বে, তা ছাড়া তার আশেপাশের এলাকাকেও জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘সৌদি গেজেট’ সংবাদপত্র জানাচ্ছে জমজমের কুয়োকে বিশ্বের প্রাচীনতম কুয়ো বলে ধারণা করা হয়, কারণ গত পাঁচ হাজার বছর ধরে এখান থেকে একটানা পানি পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এই কুয়োটি মাত্র তিরিশ মিটার গভীর, তার পরেও এটি প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে আঠারো লিটার পানি পাম্প করতে পারে।
প্রতিদিন ট্যাঙ্কারে করে অন্তত ১২০ টন জমজমের পানি মদিনার আল মসজিদ আল নবাবি-র জলাধারে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাজার হাজার বছর আগে আব্রাহামের স্ত্রী ও সন্তানরা যখন মরুভূমিতে তৃষ্ণার্ত ও অসহায় অবস্থায় পড়ে ছিলেন, তখন আল্লাহ্ এই কুয়োটি সৃষ্টি করেছিলেন আর এই জমজমের কুয়োর পানিই তাদের প্রাণে বাঁচিয়েছিল। বিবিসি