সন্ত্রাসীদের গুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে চাকরিরত শরীয়তপুরে দুই যুবকের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত রবিবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নড়িয়া উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের কাপাশপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে মো. আলম মোল্লা (৩৪) ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাইছকুড়ি গ্রামের শহর আলী মাঝির ছেলে মো. উজ্জল মাঝি (৩২)। নিহত আলম মোল্লার হানিফা (৩) নামে এক ছেলে ও আফসা (৬) নামে এক মেয়ে রয়েছে।
আলম মোল্লার পরিবার সূত্রে জানা যায়, আলম দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের সুপার মার্কেটের একটি দোকানে চাকরি করতেন। ওই দোকানটিতে পাঁচজন কমর্চারী ছিল। রোববার রাতে কিছু সন্ত্রাসী দোকানে ডুকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
তিনি বলেন, আলমরা তিন বোন, এক ভাই। ওর মা অনেক আগেই মারা গেছেন। আর বৃদ্ধ বাবা বিছানায় পরে আছেন। তাদের কিছু ফসলি জমি ছিল । সেই জমি বিক্রি করে ও ঋণ করে পরিবার আলমকে দেড় বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠায়।
এদিকে উজ্জল মাঝির বড় ভাই মারুফ মাঝি বলেন, উজ্জল প্রায় ১১ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে দোকান চালান। কয়েক দিন ধরে সেখানকার চাঁদাবাজরা তাদের কাছে চাঁদা দাবি করছিল। চাঁদা না দেয়ায় উজ্জলকে দোকানে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, সেখানকার বাংলাদেশীরা জানিয়েছে তাদের মরদেহ কেপটাউন শহরের একটি হাসপাতালের হিমাগারে আছে।