চীন শিনচিয়াং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের ওপর অনেকাংশ নির্ভর করতে হয়। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, পেইচিংয়ের দমনমূলক কৌশলের কারণে সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক উইঘুর মুসলিমরা দাঙ্গা ও সন্ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। পেইচিং নিয়মিত নির্বাসিত উইঘুরদের বিচ্ছিন্নতাবাদে মদদ দেওয়ায় অভিযুক্ত করে থাকে। শিনচিয়াং ও চীনের অন্যান্য অংশে হামলার জন্য পেইচিং ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টকে (ইটিআইএম) অভিযুক্ত করে। উইঘুর জঙ্গিরা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে আশ্রয় নেয় বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ত্রিদেশীয় আলোচনার পর আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালাউদ্দিন রব্বানি বলেছেন, ‘আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একে অপরকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি। ইটিআইএম, তাদের সহযোগী দল এবং সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আফগানিস্তান লড়াই অব্যাহত রাখবে। ’ চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়াই বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তিন দেশ একমত হয়েছে। সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য শিনচিয়াংকে পুরোপুরি ব্যবহার করা হবে।
এরই অংশ হিসেবে ট্রিলিয়ন ডলারে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ প্রকল্প হাতে নেওয়া নিয়েছে তারা।