রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আধুনিক প্রজন্মের উপযোগি সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, সমবায়ের সফলতার জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন।পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সমবায় সমিতি গঠনে এবং নের্তৃত্ব নির্বাচনে সমবায়ীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।রাষ্ট্রপতি ৪৬তম জাতীয় সমবায় দিবসের উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘উৎপাদনমুখী সমবায় করি, উন্নত বাংলাদেশ গড়ি’- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল দেশব্যাপী ৪৬তম জাতীয় সমবায় দিবস হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ, এ উপলক্ষে সমবায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, সমবায় একটি প্রাচীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। সামাজিক তথা জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে সমবায় একটি পরীক্ষিত সফল পদ্ধতি। একক প্রচেষ্টায় যা করা সম্ভব নয় সমবায় পদ্ধতিতে তা সহজেই করা সম্ভব। তাই প্রাচীনকাল থেকেই সমবায় বিশ্বব্যাপী জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম কার্যকর কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
রাষ্ট্রপতি সমবায়কে জনগণের সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিসহ নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রসার ও প্রযুক্তির বিপ্লব আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নবতর সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে। তাই এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে নতুন উদ্যোগে আধুনিক প্রজন্মের উপযোগী সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে।
হামিদ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বিশ্বাস করতেন উৎপাদনযন্ত্র, উৎপাদন ব্যবস্থা ও বণ্টন প্রণালীসমূহের মালিক বা নিয়ন্ত্রক জনগণ হলে তাঁর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা সহজতর হবে।