উত্তর-পশ্চিম স্পেনের গালিসিয়া উপকূলের কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত ওই সাবমেরিনটির সন্ধান পান ডুবুরিরা। ধারণা করা হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত জার্মানি একটি সাবমেরিন এটি। প্রায় সাড়ে ছয় দশক আগে ১৯৪৩ সালের নভেম্বরে বোমাবর্ষণে ইউ-৯৬৬ সাবমেরিনটির ভয়াবহ ক্ষতি হয়। এরপর ক্রুরাই টাইম বোমা ব্যবহার করে সেটিকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। অবশেষে সেই সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ মিলল গভীর সমুদ্রের নীচে।
যদিও বছরখানক ধরে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ-এর খোঁজ চলছিল। গত মাসের শেষদিকে তিন ডুবুরি ‘গুড উড’ নামের জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের খুঁজে পান বলে জানা গিয়েছে। সমুদ্রের যে এলাকায় তারা খোজাখুঁজি চালিয়েছেন সেটি পাথুরে হওয়ায় খারাপ আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই খোঁজার কাজ অসম্ভব হয়ে পড়ত। গালিসিয়া উপকূলের এস্তাকা দে বারেসের কাছে ডুবোজাহাজটির সন্ধান পাওয়ার কথা জানালেও এর সঠিক অবস্থান প্রকাশ করেননি।
উত্তর আমেরিকার উপকূল থেকে ফেরার পথে ১৯৪৩ সালের ১০ নভেম্বর সাবমেরিনটি শত্রুপক্ষের হামলার মুখে পড়ে বলে জানিয়েছে জার্মান নৌ ইতিহাসবিদ। ইউ-৯৬৬টি ধ্বংসের পর স্থানীয় কিছু মাছ ধরার নৌকায় করে জাহাজটির জীবিত নাবিক ও ক্রুরা সমুদ্রতীরে পৌঁছায়। ইউ-বোটটির কমান্ডার একেহার্দ ওলফ পরের বছরের নভেম্বরে নাম জালিয়াতি করে স্পেন থেকে জার্মানি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে জানান তিনি।
জার্মান এ ইউ-৯৬৬ সাবমেরিনগুলি মিত্রবাহিনীর নৌ যোগাযোগ ও রসদ সরবরাহের পথ বন্ধে বেশ কার্যকর ছিল। ৬৭ মিটার দীর্ঘ ‘গুড উড’কে ১৯৪৩ সালের জানুয়ারিতেই মোতায়েন করা হয়েছিল। ১০ মাস পর ‘প্রায় নতুন অবস্থাতেই’ এর সলিলসমাধি ঘটে।