এখন প্রায় প্রতিদিনই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শুটিং করতে হচ্ছে। কখনো আউটডোরে কখনো ইনডোরে। ঈদের সময় কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে বলেই এমন ব্যস্ততা। আর তাছাড়া আমার জন্য কারো ক্ষতি হোক তা চাই না। সেই কারণে কষ্ট হলেও সবার সিডিউল ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। ঈদ নাটকের ব্যস্ততা নিয়ে এভাবেই বললেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। আসছে ঈদের জন্য এরই মধ্যে এই অভিনেত্রী কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে সাগর জাহানের ‘মায়া সবার মতো না’, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘পারফেক্ট ওয়াইফ’ ও প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘রিলেশনশিপ’।
ঈদের আগ পর্যন্ত আরো কয়েকটি নাটক-টেলিছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন বলে জানান মেহজাবিন।এবার ঈদের কাজগুলোর মধ্যে কোনো চরিত্র মনে দারুণভাবে দাগ কেটেছে কিনা জানতে চাইলে এ পর্দাকন্যা বলেন, আমি যে কোনো নাটক-টেলিছবিতে কাজ করার আগে সেটার চরিত্রটা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করি। যদি দেখি চরিত্রের মধ্যে গভীরতা নেই তাহলে সে কাজ করি না। আসছে ঈদে ‘মায়া সবার মতো না’ নাটকে দর্শক আমাকে একেবারেই অন্য এক রূপে দেখবেন। কাজল আরেফিন অমির একটি নাটকেও ভিন্ন ধরনের চরিত্র নিয়ে সবার সামনে আসবো। জানা গেছে, ‘মায়া সবার মতো না’ নাটকটির শুটিংয়ের সময় আপনাকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। সেটা কেমন? মেহজাবিন বলেন, নাটকটি এই সময়ের একটি গল্প নিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। স্থুলকায় মানুষদের আমাদের সমাজে দূর্বল মনে করা হয়। চাকরি কিংবা বিয়ে করতে যাওয়া এবং অন্য নানা ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়। মায়া নামের মেয়েটিও তেমন সমস্যার মুখোমুখি হয়। কিন্তু সে খুব সাহসী, আত্মনির্ভরশীল। এ চরিত্রটি রূপ দিতে গিয়ে আমাকে অন্যরকমভাবে পোশাক পরতে হয়েছে। প্রচন্ড গরমে এভাবে পোশাক পরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একবারও সেটি না খুলে কষ্ট করে শুটিং করেছি। বিষয়টা চ্যালেঞ্জিংই ছিল বটে। এদিকে টিভি নাটকের বাইরে ঈদে এই অভিনেত্রীকে মাছরাঙা চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে দেখা যাবে বলে জানান। উল্লেখ্য, খন্ড নাটক ও টেলিছবির বাইরে ধারাবাহিক নাটকে নেই মেহজাবিন। কেন? এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, একক নাটকে অভিনয় করতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। খন্ড নাটকে দর্শক এক বসাতেই পুরো গল্প দেখতে পারেন। কিন্তু ধারাবাহিকে তার ব্যতিক্রম। এছাড়া খন্ড নাটকে যে ধরনের চরিত্র পাওয়া যায় ধারাবাহিকে তেমন নেই। আমাদের এই সময়ের দর্শক খন্ড নাটক দেখতেই বেশি পছন্দ করে।
এছাড়া আমাদের এখন অনেক ভিন্নধারার গল্প নিয়ে খন্ড নাটক নির্মাণ হচ্ছে বলে আমি মনে করি। অনেক শিল্পীর কাছে সিডিউল জনিত কিছু সমস্যার কথা শোনা যায়। বিশেষ করে স্পটে কল টাইম নিয়ে শিল্পী ও নির্মাতাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয় বলে নাটক সংশ্লিষ্ট অনেকে বলে থাকেন। এই বিষয়ে মেহজাবিনের মন্তব্য কি? তিনি বলেন, সঠিক সময়ের মধ্যে শুটিং শেষ করতে পারলে শিল্পী, নির্মাতা সবার জন্য ভালো। পরের দিন তাহলে সঠিক সময়ে স্পটে যাওয়া যায় এবং কাজটিও সুন্দর ভাবে করা যায়। কিন্তু অনেক সময় নানা কারণে এটি সম্ভব হয় না। সবাই যদি নিজেদের কাজে সচেতন হই তাহলে এই সমস্যা থাকবে না। আলাপনে এই অভিনেত্রী তার বিয়ে নিয়েও কথা বলেন। চলতি বছরে বিভিন্ন অনলাইন গনমাধ্যমে মেহজাবিন বিয়ে করছেন বলে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এখন ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। বিয়ের কথা ভাবনায় নেই। পরিবার থেকেও বিয়ের জন্য কোনো চাপ নেই। সময় হলে সবাইকে জানিয়েই বিয়ে করবো।