অবশেষে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে রোগীদের হার্টের রিং দেওয়া শুরু হয়েছে। রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীরা সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে হার্টের রিং পেয়েছেন।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে কাউকে রিং বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। আজ থেকে যেসব সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মোড়কে রিংয়ের নিবন্ধন, মূল্য, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকবে, তাদের রিং বিক্রি করা যাবে না। জনস্বার্থে নৈরাজ্য বন্ধে সবকিছু করা হবে।
হার্টের রিংয়ের মূল্য নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ১৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে হার্টের রিংয়ের সর্বোচ্চ খূচরা মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই মূল্য তালিকা ইতিমধ্যে সব হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, রিংয়ের ৪১ আইটেমের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই তালিকা হাসপাতালের দৃশ্যমান জায়গায় সাঁটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রিংয়ের মূল্যের বিষয়ে পরিচালক বলেন, হার্টের রিং আমদানি করতে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ টাকার কোনো পণ্য কিনলে তা ১ দশমিক ৫ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করতে পারবে। এভাবেই ৪১ আইটেমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।