রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি এবং কল্যাণমূলক সংগঠনকে প্রবীণদের কল্যাণে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল ১ অক্টোবর যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবস পালিত হবে।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতিতে বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর সব দেশেই প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। প্রবীণ জনগোষ্ঠী সমাজে সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁদের মেধা, মনন ও কর্মময় জীবনের পথ বেয়েই সভ্যতা ও উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। তাই প্রবীণ ব্যক্তিদের যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান প্রদানসহ তাঁদের স্বস্তিদায়ক জীবন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবীণদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাই প্রবীণদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত করা জরুরী। পাশাপাশি তাঁরা যাতে সুখ-শান্তিতে এবং মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।এ ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার প্রবীণদের কল্যাণে বয়স্কভাতা, চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বার্ধক্যের বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই একদিন প্রবীণত্বকে বরণ করতে হয়। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ভবিষ্যৎ অগ্রসরে : সমাজে প্রবীণদের দক্ষতা, অবদান এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রবীণদের নানা সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সমাজ গঠনমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা গেলে তাঁরা সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। সাথে-সাথে জাতীয় উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রবীণের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ কামনা করেন।