জাতীয় দলের দুই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি মুর্তজা মুখোমুখি হলেন শনিবার। একজন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক, আরেকজন ওয়ানডের। মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচের এ লড়াইয়ে জয় হয়েছে নতুন টেস্ট অধিনায়কের। মাশরাফির সবুজ দলকে ১৩৭ রানে হারিয়েছে সাকিবের লাল দল।
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যাটিংয়ে তামিম-মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক ভালো করলেন, বোলিংয়ে রুবেল-রনি-তাসকিন-মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনরা। মুশফিক অবশ্য দুই দলের হয়েই ব্যাট করেছেন। লাল দলের মুশফিক ‘গোল্ডেন ডাক’ মারলেও সবুজ দলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন।
এদিন টসে জিতে মাশরাফি ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান লাল দলকে। ব্যাটিংয়ে শুরুটা মন্দ হয়নি তামিম-এনামুল হকের। যদিও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি এনামুল। মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে বোল্ড হন ২১ রানে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা তামিম তুলে নেন সেঞ্চুরি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১১৯ বলে ১০ চার ও দুই ছক্কায় ১০৪ রান করা এ ওপেনারকে আউটই করতে পারেনি সবুজ দল। সেঞ্চুরির পর স্বেচ্ছায় মাঠ ছেড়েছেন তামিম।
তামিমের পর জ্বলে উঠেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এই অলরাউন্ডার ৮৭ রান করেছেন ৭৫ বলে তিন চার ও ৫ ছক্কায়। তাদের ইনিংস দুটির ওপর ভর করে লাল দল ৫০ ওভারে ৭ উইকেট করে ৩২০ রান। এছাড়া সাকিব (২৪) ও সাব্বির রহমান (২০) কিছুটা অবদান রাখেন।
লাল দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রুবেল হোসেন। তিনি ৭ ওভারে ২১ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। এছাড়া আবু হায়দার রনিও নিয়েছেন সমান উইকেট। প্রথমবার জাতীয় দলের ক্যাম্পে সুযোগ পাওয়া আবু জায়েদ রাহী নিয়েছেন একটি উইকেট।
৩২১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪৩.২ ওভারে অলআউট হয় মাশরাফিরা। কোনও ব্যাটসম্যানই খুব একটা ভালো করতে পারেননি। ১৮৩ রানে সব উইকেট হারায় সবুজ দল। লাল দলের ব্যর্থ মুশফিকই সবুজ দলের শীর্ষ ব্যাটসম্যান। ৫৮ বলে দুই চারে মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। এছাড়া মিঠুন আলী ৪৩, নাসির ৩৬, সৌম্য ২৭ , সাইফউদ্দিন ১৩, আরিফুল হক ৯ ও লিটন ৭ রান করেন।