সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে নিজের ভুল বুঝতে পারায় নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে এক বছরের আনা হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সন্ধ্যায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের (আকসু) তিনটি আইন লঙ্ঘন করায় এই নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হচ্ছে তাকে।
আইসিসি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে সাকিবের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচে সাকিবের কাছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে আইসিসি এবং সে সব বিষয়ে তারা প্রমাণও সংগ্রহ করেছে।
১. ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের যে ত্রিদেশীয় সিরিজ হয়েছিল কিংবা ২০১৮ আইপিএলে প্রথম ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে কোনো কিছুই জানাননি।
২. একই ধারার অধীনে অপরাধ : ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়ই আরো একটি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসিকে অবহিত করেননি।
৩. ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সে বিষয়েও তিনি আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন সংস্থাকে কিছুই জানাননি।