প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা, সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম ও গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলেই সরকার বিগত ৯ বছরে সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন জনগণের অর্জন। সাফল্যের ধারাকে অব্যহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের দীর্ঘ ৬ বছরের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ জয় সম্ভব হয়েছে। মহাকাশে আজ বাংলাদেশের পতাকা উড়ছে। এ গৌরব আমাদের সরকারের, এ গৌরব দেশের ১৬ কোটি মানুষের।
বুধবার জাতীয় সংসদের ২১তম (বাজেট) অধিবেশনের ১৫তম কার্যদিবসে ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে’ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম আখতার জাহানের পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন-উত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপন এবং আইন প্রণয়ন কার্যাবলী শেষে ২০১৮-১৯ সালের বাজেট, বাজেটের মঞ্জুরী দাবী এবং দায়যুক্ত ব্যয় নির্দিষ্টকরণ সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদেশী বিনিয়োগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে: সরকারি দলের সদস্য এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলার জন্য বিনিয়োগ সংক্রান্ত সুবিধাদি সৃষ্টি করা হচ্ছে, গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭ সালে ২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকৃত বৈদেশিক বিনিয়োগ পাওয়া গেছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক কোটি কর্মসংস্থান: প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়ন ও সফলতার বিবরণ তুলে ধরতে গিয়ে আরও বলেন, রফতানি কেন্দ্রিক উৎপাদনে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করতে হবে। অপ্রচলিত পণ্য রফতানির মাধ্যমে অধিক পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। দেশে রফতানি আয় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পাবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট: সরকারি দলের সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভসহ ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।