ডিএমপি নিউজ: বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি ও সাবেক সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন এর নামাজে জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) বাদ মাগরিব যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর বনানীতে মরহুমের নামাজে জানাযা ও জানাযা শেষে বনানী কবরস্থানে মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়।
সাবেক আইজিপি ও সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন এর মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।
আইজিপি শোকবার্তায় বলেন, মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন একজন সৎ ও দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। আইজিপি হিসেবে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমরা শ্রদ্ধার সাথে তার অবদান স্মরণ করছি। আইজিপি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম(বার)। ডিএমপি কমিশনার মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক, এসবি এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান পিপিএম(বার), উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-মতিঝিল), ডিএমপি, ঢাকা।
সাবেক এ আইজিপি ১৯৪৯ খ্রিঃ নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ খ্রিঃ বিসিএস প্রথম ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করার পর তার উপর অর্পিত সকল রাষ্ট্রীয় ও সরকারী দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। তিনি ১৯৯৩ খ্রিঃ কম্বোডিয়ায় ইউএন মিশনে ডেপুটি কমান্ডার এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ খ্রিঃ পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ ও উন্নয়ন) হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০৫ খ্রিঃ এর ৭ মে বাংলাদেশ পুলিশের ২৩ তম আইজিপি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে বারোটায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসহ অসংখ্য আত্নীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।