ডিএমপি নিউজ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে হেনস্তা ও ব্ল্যামেইলিংয়ের অভিযোগে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার।
গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক পিপিএম ডিএমপি নিউজকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেনস্তা ও ব্ল্যামেইলিংয়ের শিকার ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটারা থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনাক্ত করে গত ১৫ এপ্রিল ২০২৩ রাত ৮:৩০টায় রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ২টি মোবাইল ও ২টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ নাজমুল হক বলেন, আত্মীয়তার সুবাদে ভিকটিমের মোবাইল ফোন গ্রেফতারকৃত আবুলের কাছে থাকতো। ভিকটিমের অজান্তে তার কিছু ব্যক্তিগত ছবি সরিয়ে নিজের কাছে সংরক্ষণ করে রাখে আবুল। সে ফেইসবুকে বন্ধু তালিকায় থাকায় ভিকটিমের আপলোড করা ছবি সহজেই পেয়ে যেতো। পরে এই ছবি ব্যবহার করে একটি ভুয়া আইডি খুলে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের ছবি আপলোড করে। এছাড়া বিভিন্ন পর্ন তারকার ছবি, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত মাদক সেবনের ছবি ও অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করা হয়। ছবি ও ভিডিও আপলোডের সময় ভিকটিমের মোবাইল নম্বর দিয়ে দিতো। ফলে বিভিন্ন ব্যক্তি ভিকটিমকে কল করে বিরক্ত করতো।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় প্রতারণা ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ নিন্মলিখিত পরামর্শ দিয়েছে :
১. ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্মার্টফোনে অবশ্যই শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখুন।
২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি শেয়ারের সময় সেটির গোপনীয়তা নিশ্চিত করুন।
৩. অপরিচিত কোন ব্যক্তি বন্ধু তালিকায় থাকলে তাকে সরিয়ে ফেলুন।
৪. গুগল বা ক্লাউডে নিজের ব্যক্তিগত ছবি বেহাত হওয়া ঠেকাতে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখুন।