ডিএমপি নিউজঃ জয়নব, নাজমিন, মোছা: শাহিনুর ও রোকসানা ওদের প্রত্যেকের স্থান ছিল এতোদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে। ওদের কারোর বয়স আট, কারোর সাত কারোর বা তের। কেউ নিজের নাম বলতে পারলেও কেউ পারে না। কেউ বা আবার বাক প্রতিবন্ধি। কিন্তু এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে রোকসানা বাদে বাকি তিনজন এখন তার বাবা মায়ের কোলে।
গত ১১ মার্চ, ২০১৮ সকাল ০৮.০০ টায় শাহআলী থানার নিউ ব্লকের মসজিদুল মোকারম মসজিদের সামনে কান্নারত অবস্থায় পাওয়া যায় আট বছরের জয়নবকে। সে তার নাম বলতে পারলেও বাবা-মা বা ঠিকানা বলতে পারত না। পরে তার স্থান হয় তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
২৩ মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ টায় খিলগাঁও ২নং কাউন্সিলর অফিসের নিকট থেকে পাওয়া যায় নাজমিন নামের তের বছরের এক শিশুকে। সেও তার সঠিক ঠিকানা বলতে পারছিলো না। পরে তার স্থান হয় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
২৪ মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ টায় শাহআলীর ব্লক#এ ৭নং রোড এর মাথায় কান্নারত অবস্থায় পাওয়া যায় মোছাঃ শাহিনুর নামের আট বছরের শিশুটিকে। পরে এক ভদ্রলোকের সহায়তায় তার স্থান হয় প্রথমে শাহআলী থানা তারপর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
এদের তিনজনসহ আঠার বছরের এক বাকপ্রতিবন্ধির মেয়ের প্রাপ্তি সংবাদ ২৭ মার্চ, ২০১৮ প্রকাশ করা হয় ডিএমপি নিউজ এর অনলাইন পোর্টালে। তারপর সেখান শেয়ার করা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে। তারপর একে একে শত শত ফেসবুক পেজে। এরপর….
৩০ মার্চ, ২০১৮ বাংলাদেশ পুলিশ নেটওয়ার্কের ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় হারানো জয়নব(০৮), নাজমিন (১৩) ও মোছাঃ শাহিনুর(০৮) কে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।