ডিএমপি নিউজঃ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় সামুদ্রিক মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টি ও প্রজননস্থল নিরাপদ রাখতে অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ নৌ পুলিশ।
নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় সামুদ্রিক মাছ আহরণ বন্ধে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই, ২০২১ পর্যন্ত ৬৫ দিন ৩,০৪৩ টি অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ নৌ পুলিশ। এসময় ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু এবং ১৪০ জনকে ৮,৪৯,৭০০ টাকা, ০৮টি ট্রলার মালিককে ২,১৩,০০০ টাকা, ১৫ টি নৌকার মালিককে ১,৫০,০০০ টাকা এবং ০৮ টি বরফকল মালিককে ৪২,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও এ অভিযানে ৩,৪৩,৪১,১৮০ মিটার অবৈধ জাল উদ্ধার করা হয়।
নৌ পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, জনগনের আস্থা অর্জনে শুধুমাত্র মামলা ও জরিমানা দিয়ে নয় বরং সচেতনতার মাধ্যমে জনগনের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনকে কাজে লাগিয়ে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে নৌ পুলিশ । অভিযানের অংশ হিসেবে বরফকল, আড়ৎ, বাজার, ফিসিংবোট ঘাট, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও মাছ ঘাট নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়। বরফকল মালিক সমিতি, ফিসিংবোট মালিক সমিতি ও জেলেদের সাথে সচেতনতামূলক সভার আয়োজনের মাধ্যমে তাদেরকে নিষিদ্ধকালীন সময়ে সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণ না করার জন্য সচেতন করা হয়। নৌ পুলিশের কর্মতৎপরতা এবং জনগনের সম্পৃক্ততায় এ বছর নিষিদ্ধকালীন সময়ে সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের পরিমান উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে গিয়েছে।
সমুদ্রসীমায় ৬৫ দিনের অভিযান প্রসঙ্গে নৌ পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি জনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) বলেন, “সামুদ্রিক জলসীমানায় নিষিদ্ধকালীন সময়ে মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশ গতানুগতিক পুলিশিং এর বাইরে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত সকল বরফকল বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করে, যাতে কেউ বরফ নিয়ে সমুদ্রে যেতে না পারে। এছাড়া ইন্টিলিজেন্স বেইসড পুলিশিং তথা জেলেপল্লী হতে যাতে কেউ গোপনে সমুদ্রে যেতে না পারে এবং কোন ট্রলার ঘাট ছেড়ে যেতে না পারে কিংবা কোন সংঘবদ্ধ দল সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। এতে বিগত বছরগুলোর তুলনায় সমুদ্রে ইলিশ, চিংড়ি ও চিংড়ি জাতীয় মাছসহ সামুদ্রিক মাছের পরিমান ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রোটিনের অন্যতম উৎস এই সামুদ্রিক মাছ বাংলাদেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করে বর্হিবিশ্বে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের “ব্লু ইকোনমিতে” এক নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করবে।”