সারাদেশে নৌ-পথ বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ তৈরি করতে চাই, নদীকে দখলমুক্ত করতে চাই। ঢাকা ও চট্টগ্রামকে পরিবেশবান্ধব করতে চাই। এছাড়া আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচলের বৃদ্ধি চিন্তা করছে সরকার।
ঢাকা-কলকাতায় জাহাজ চালুর পর আসামসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর অন্য অঞ্চলেও যাত্রীবাহী জাহাজ চালু করবে। পাশাপাশি সমুদ্র বন্দরের সক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নৌখাতে বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে নৌ-মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী রাষ্টদূতকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি উপহার দেন। এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
৭০ বছর পরে আগামী ২৯ মার্চ বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় জাহাজ চলাচল শুরু প্রসঙ্গ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব সময় ইকনোমির দিকে তাকালে হবে না। কিছুটা রিলেশনের দিকেও তাকাতে হবে। এটা আমরা চালু করি তারপর কোন পর্যায়ে নিতে পারবো চিন্তা-ভাবনা করবো। আমরা আসামসহ অন্য দিকেও যাবো। কিছুদিন আগে প্রাইভেট একটি কোম্পানি ঘুরে গেছে। শুধু আঞ্চলিক নয়, এ অঞ্চলের বাইরে যাওয়ারও আগ্রহ আছে। আমাদের সক্ষমতা যত বেশি বাড়বে, আমাদের বিস্তৃতি তত বেশি বাড়বে।
নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় পর্যায় চলছে। চট্টগ্রামেও আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমাদের লক্ষ্য, আমরা নদী দখলমুক্ত করবো। কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ঢাকা শহরের নদীগুলো মানুষের বসবাস ও চালাচলের উপযোগী করতে চাই। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা কাজ করছি। অল্প দিনেই আপনারা এর প্রতিফলন দেখতে পাবেন। এই কার্যক্রম টেকসই হবে, কারণ একটা মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। মাস্টারপ্ল্যান যদি আমরা চূড়ান্ত করতে পারি তবে শুধু দখলমুক্ত নয়; বুড়িগঙ্গা-তুরাগ-বালু-শীতলক্ষ্যা নদীর পানিও দূষণমুক্ত করতে চাই।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নৌখাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছা ব্যক্ত করেছে। তাদের অনেক বিনিয়োগকারী রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি বিনিয়োগ করতে কোনো অসুবিধা নেই। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত আছি। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে যেহেতু তাদের সঙ্গে একটা কার্যক্রম আছে, এগুলো নিয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন। শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয়, আমরা মোংলা, মাতারবাড়ি ও পায়রা বন্দর নিয়ে যে কাজগুলো করছি, ভবিষ্যতে কী করতে চাই সে বিষয়ে তাকে অবহিত করেছি।