সালমান খানের ছবি মানে বলিউডের বক্সঅফিসে হিট। তার সিনেমা অনায়াসে ৩ থেকে ৫ কোটি রুপি ইনকাম করতে পারে। পারবেই বা না কেনো তিনি তো বলিউডের হ্যান্ডসাম ম্যান সালমান খান।
সালমান খানের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলো না ‘টিউবলাইট’। এ কারণে বাজেট অনুযায়ী আহামরি ব্যবসা করতে পারেনি ছবিটি। তাই লোকসানের মুখে পড়েন ভারতের একক সিনেমা হলগুলোর পরিবেশক ও প্রদর্শকরা। অবশ্য ব্যর্থতা নিজের কাঁধে নিয়ে তাদের ৫৫ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন সল্লু।
বক্স অফিসে সালমানের ছবির এমন ধীরগতির ব্যবসা সচরাচর দেখা যায় না। এতে হতবাক হয়ে গেছেন সংশ্লিষ্টরা। ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচকরা এ ছবির আলো না ছড়ানোর সাতটি কারণ বের করেছেন। চলুন দেখা যাক যেসব কারণে জ্বললো না কবির খান পরিচালিত ‘টিউবলাইট’।
১. ‘টিউবলাইট’ মিটমিট করে জ্বলার প্রথম কারণ হলো ঈদ। এমন উৎসবে সালমান খানের ভক্তসহ ভারতীয় দর্শকরা সাধারণত হাসিখুশিতে ভরপুর ছবি দেখে অভ্যস্ত। ‘টিউবলাইট’ তাদের প্রত্যাশার ধারে কাছেও যেতে পারেনি। গল্পটা মূলত ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে। গল্পে সব মুখ্য চরিত্রই কিছু না কিছু কিংবা কাউকে না কাউকে হারিয়েছে।
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=uIpslXGtXU0]
৫. কাহিনিতে সালমান খান ও তার বাস্তবের ছোট ভাই সোহেল খানকে খুব কম সময় একসঙ্গে দেখা গেছে। এমনিতেই তারা পর্দা ভাগাভাগি করলেন বহু বছর পর, তাই এমন স্বল্প উপস্থিতি দর্শকদের চোখে অমার্জনীয় লেগেছে। দু’জনে একটি গানে একসঙ্গে অংশ নিয়েছেন, এরপরই সালমানকে রেখে সোহেল চলে গেছেন রণাঙ্গনে।
৬. দুঃখজনক হলেও ‘টিউবলাইট’-এর কোনও গানই শ্রোতাদের তেমন একটা টানেনি। বেশিরভাগ গানই গল্পের সঙ্গে ঘটনাকেন্দ্রিক। তাছাড়া রেডিওর স্বর্ণযুগের ছোঁয়া দিতে পারেনি ‘সাজন রেডিও’ শিরোনামের গানও।
৭. ‘টিউবলাইট’ আলো না ছড়ানোর আরেকটি অন্যতম কারণ হলো, সালমান খানের প্রচুর কান্নার দৃশ্য। তার অভিনীত লক্ষণ সিং চরিত্রকে গোটা ছবিজুড়ে প্রায় সারাক্ষণই কাঁদতে হয়েছে।