ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর বনানীর ট্রাভেল এজেন্সির মালিক সিদ্দিক হত্যা মামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারীকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৫ ডিসেম্বর’১৭ রাত সাড়ে এগারোটার দিকে গুলশান থানার কালাচাঁদপুর এলাকা হতে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ও ডিবি (উত্তর) বিভাগের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ হেলাল উদ্দিন। তার বয়স ৩৮ বছর। গ্রেফতারের পর তার হেফাজত থেকে ৪টি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ১টি ৯ এমএম পিস্তল ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৪ নভেম্বর’১৭ চারজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত বনানীর এস মুন্সি ওভারসীজ রিক্রুটিং এজেন্সিতে ঢুকে উপর্যুপরি গুলি করে এজেন্সির মালিক সিদ্দিক হোসাইনকে হত্যা করে। এছাড়াও ঐ সময় উক্ত অফিসে কর্মরত আরও তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়।
এ সংক্রান্তে বনানী থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার করার অভিযান শুরু করে পুলিশ।
এ সংক্রান্তে আজ বেলা ১১টায় ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন সিটি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএম-বার। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি (উত্তর) বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রাপ্ত তথ্য সমূহ বিশ্লেষণ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের সনাক্তের চেষ্টা করা হয়। গুলশান থানার কালাচাঁদপুর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ও ডিবি (উত্তর) বিভাগের যৌথ টিম ৫ ডিসেম্বর রাত ১১.৩০ টায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের দিকে গুলি করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি করে। ঘটনাস্থল হতে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে উদঘাটিত হয় রাজধানীর বনানীর ট্রাভেল এজেন্সির মালিক সিদ্দিক হত্যার ঘটনার।
তিনি আরো জানান যে, ঘটনার দিন গ্রেফতারকৃত আসামী হেলাল বন্ধু প্রবাসী ছাত্রদল নেতার নির্দেশনা মোতাবেক ভাড়াটিয়া ৫ জন পেশাদার খুনিসহ ঐ রিক্রুটিং এজেন্সিতে হামলা চালায়। এসময় এই ৬ জনের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। হত্যার পরিকল্পনাকারী হেলাল উদ্দিনসহ ১ জন দেওয়ালের বাইরে অবস্থান করে এবং মুখোশধারী ৪ জন এস মুন্সি ওভারসীজ রিক্রুটিং এজেন্সির ভেতরে প্রবেশ করে সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করে। এসময় হেলাল অপারেশনাল কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে এবং আসামীরা ২৫/২৬ রাউন্ড গুলি করে বলে জানায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রসমূহ সরবরাহ করে ঘটনার পর অস্ত্রসমূহ তার হেফাজতে রাখে বলে গ্রেফতারকৃত আসামী স্বীকার করে। ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে সাদ্দাম ও পিচ্চি আল-আমিন’ নামে দুইজনকে সনাক্ত করেছে পুলিশ। হেলালের প্রবাসী বন্ধুসহ অপরাপর আসামীদের সনাক্তসহ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য যে, গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।