সিরিয়ায় ইরানের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানোর এক পর্যায়ে বিমান বিধ্বংসী গোলার আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে ইসরাইলের একটি যুদ্ধবিমান। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীই এই তথ্য জানিয়েছে। তবে বিমানের দুই চালক নিরাপদে প্যারাশ্যুট দিয়ে ইসরাইলে অবতরণ করেছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইসরাইলের দৈনিক হারেৎস পত্রিকা বলেছে, শনিবার সকালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, সিরিয়া থেকে ইসরাইলি ভূখ-ে পাঠানো ইরানের একটি ড্রোন শনাক্ত করে সেনাবাহিনী। এই উস্কানির প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। কিন্তু বিমান বিধ্বংসী গোলার আঘাতে একটি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়। ফেরার পথে দুই পাইলট নেমে যান। যুদ্ধবিমানটি উত্তরাঞ্চলীয় ইসরাইলে ভূপাতিত হয়। দুই পাইলট এখন সুস্থ আছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রনেন মানেলিস বলেন, ‘আমরা ইরানের ড্রোনকে চিহ্নিত করেছিলাম। এটি সিরিয়া থেকে ইসরাইলে পাঠানো হয়েছে। বিমান বাহিনীর নিজস্ব সিস্টেমই এই ড্রোনকে ধরতে পারে। পরে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ওই ড্রোনকে ভূপাতিত করে। ইরানের ড্রোনটি আমাদের ভূখ-ে ভূপাতিত হয়েছে। এটি আমাদের জিম্মায় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিরক্ষার অংশ হিসেবে এই ঘটনার পর সাইরেন বেজে ওঠে। তবে বিপদ কেটে গেছে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যেই ঘাঁটি থেকে ওই ড্রোনটি ইরান উৎক্ষেপণ করে, সেখানে আক্রমণ চালানো হবে। সিরিয়ার খুব গভীরে ওই ত্বরিত হামলা চালানো হয়। লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে। মুখপাত্র আরও বলেন, এটি ইসরাইলি ভূখণ্ডে ইরানের গুরুতর এক হামলা। ইরান এই অঞ্চলে এমন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে যে, দেশটি জানে না, এর শেষ হবে কীভাবে। আমরা বিভিন্ন ধরণের পরিস্থিতির জন্য তৈরি আছি। এই ঘটনার জন্য যারাই দায়ী, তাদেরকেই মূল্য চুকাতে হবে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিরিয়ার বিমান বিধ্বংসী গোলাগুলির কারণে উত্তরাঞ্চলীয় ইসরাইলে সাইরেন বেজে উঠেছিল। প্রথমে বেইত শিআন শহরে। পরে আশেপাশে ও গোলান উপত্যকায়ও সাইরেন বেজে ওঠে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আধঘণ্টা ধরে প্রচুর বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তারা।
এ ছাড়া জর্দান ও সিরিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক বৈমানিক তৎপরতা দেখতে পেয়েছেন তারা। এই সংবাদ যখন লেখা হচ্ছিল, তখন সিরিয়ার গোলান উপত্যকার নিকটে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বিদ্রোহীরা ব্যাপক গুলি বিনিময় করছিল।