পেশাগত দায়িত্ব, নাকি মানবিকতা কোনটা আগে? প্রথমটা বেঁচে থাকার অবলম্বন, দ্বিতীয়টা অন্যকে বাঁচতে সহায়তা করা।
গত শনিবার এ রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন এক ফটোসাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আবদে আলকাদের হাবাক। সিরিয়া থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সময় আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ১২৬ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ৮০ জন ছিল শিশু। হাবাক ছবি তোলার জন্য ঘটনাস্থলে পেঁৗছেই হতবাক হয়ে যান। অনেক শিশু মৃত পড়ে ছিল, অনেক শিশু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। হাবাক ছবি তোলা বাদ দিয়ে ক্যামেরাটি এক পাশে রেখে শিশুদের উদ্ধারে লেগে যান। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা সিএনএন’কে ওই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জানান, অত্যন্ত ভয়ঙ্কর দৃশ্য ছিল সেটি। আমার পাশেই শিশুরা হাহাকার করছে, মারা যাচ্ছে। আমি তৎক্ষণাৎ ক্যামেরা এক পাশে সরিয়ে রেখে আহতদের উদ্ধার শুরু করতে লেগে যাই।খবর এএফপি।
হাবাকের উদ্ধার তৎপরতার ছবি তুলেছেন আরেক ফটোসাংবাদিক মুহাম্মদ আল-রাগেব।
আল-রাগেব জানান, প্রথমে তিনি (হাবাক) শিশুদের সাহায্য করেছেন, তারপর ছবি তুলেছেন। আমি সে দৃশ্যগুলো ক্যামেরায় ধারণ করতে চেয়েছি। হাবাকের মতো তরুণ সাংবাদিকের এমন মানবিকতা দেখে আমি গর্বিত।