যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সিরিয়া হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাশিয়া বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ পরিণতি ছাড়া শেষ হবে না।
শনিবার (১৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। এর আগে শনিবার ভোরে এই হামলা চালানো হয়।
বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ার সময় অনুযায়ী, শনিবার ভোর রাতে এই হামলা চালানো হয়। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা জোটের এটি সবচেয়ে বড় হামলা।
সিরিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পূর্বে একটি গবেষণাগারে এবং অন্যান্য সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, তিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে। এগুলো হলো ১. দামেস্কের বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার, যেখানে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র উৎপাদন করা হয় বলে জানা যায়; ২. হোমসে একটি রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার ও ৩. হোমসেই পাশেই আরেক অস্ত্রভাণ্ডার, যেখান থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ঘাঁটিতে সেনা হামলার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
গত সপ্তাহে দৌমা শহরে সন্দেহজনক রাসায়নিক হামলা চালায় সিরিয়া। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়। এর জবাবেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা শনিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এ হামলা শুরু করে।