সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি শহরে কথিত বিষাক্ত গ্যাস হামলা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দা প্রস্তাবের উদ্যোগে ভেটো দিয়েছে রাশিয়া।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ছয় বছরে এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো আসাদ সরকারের সমর্থনে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করলো মস্কো।
সিরিয়ার খান শেইখৌন শহরে চালানো ওই প্রাণঘাতী হামলার নিন্দা ও তদন্তকারীদের ফ্লাইট প্ল্যানসহ প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার সুযোগ করে দিতে আসাদ সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার কথা ছিল খসড়া প্রস্তাবটিতে।
নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতাধারী যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য প্রস্তাবটিতে সমর্থন দিয়েছে, পরিষদের অপর স্থায়ী সদস্য চীন ভোটদানে বিরত ছিল।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের অপর সদস্যদের মধ্যে বলিভিয়া প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ইথিওপিয়া ও কাজাখস্তান ভোটদানে বিরত ছিল। অপর সাতটি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
প্রস্তাবে রাশিয়া বাধা দেওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি আসাদকে রক্ষা করা বন্ধ করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সিরিয়ার সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে চায়।
অপরদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার সহকারী রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির সাফ্রোনকোভ বলেছেন, প্রস্তাবে স্বাধীন তদন্তের চেয়ে দোষ দেয়ার বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “এই হচ্ছে সিদ্ধান্ত, আমি বিস্মিত। অপরাধস্থল এখনও কেউ পরিদর্শন করেনি। (কে দোষী) আপনারা এটি কিভাবে জানেন?”
‘আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে’ সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
৪ এপ্রিলের ওই গ্যাস হামলার জেরে সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে দুদেশের সম্পর্কে আস্থা আরো হ্রাস পেয়েছে বলে বুধবার মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।