রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় সুইডেন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাথে আজ তার কর্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত মিজ. চারলোটা স্কালাইটার সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নারীর ক্ষমতায়ন ও সার্বিক উন্নয়নে নারীদের সম্পৃক্ততায় বাংলাদেশের সফলতারও প্রশংসা করেন। এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, সুইডেনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সুইডেন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশিদার। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সুইডেনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং আগামীতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে সম্প্রতি আয়োজিত ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করায় স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান এবং ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের (সিপিসি) সফলতা কামনা করেন।ঢাকায় শুরু হওয়া ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনে সুইডেন পার্লামেন্টের স্পিকারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অংশ নেয়ায় স্পিকার রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
স্পিকার বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন, তরুণ নেতৃত্ব, সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা- এসকল কিছু নিয়ে সিপিএ কাজ করছে। আজ থেকে শুরু হওয়া ৬৩তম সিপিসি’র মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বকে নতুন বার্তা পৌঁছে দেবে বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এমডিজি’র উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে এবং এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদী।বাংলাদেশ ও সুইডেনের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফর ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের পার্লামেন্ট উপকৃত হতে পারে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সংসদীয় চর্চা ও গণতন্ত্র বিকাশে দু’দেশের সংসদ সদস্যদের সফর বিনিময় বিদ্যমান বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করবে।স্পিকার সুইডেনের রাষ্ঠ্রদূতের বাংলাদেশে অবস্থানকালে দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।