ভাত ছাড়া বাঙালি চলতে পারে না ৷ এক বেলা ভাত খেতে না পারলে সারাদিনটা পুরো নষ্ট ৷ ঘুরতে গিয়ে দুপুরে হোটেলে ভাত খোঁজা বাঙালির স্বভাব ৷ কিন্তু এখন অনেকেই রুটিটাকে ভাতের পাশে প্রাধান্য দেন ৷ কারণ আটায় থাকে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান ৷ যা হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয় ৷ এছাড়াও শরীরকে অনেক সতেজ ও সুস্থ রাখে ৷
রুটিতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম ৷ তাই রুটি খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয় না ৷ শরীরকে ফিট রাখে ৷ তাই ডিনারে রুটি রাখা ভালো ৷ যারা একেবারেই রুটি খেতে পারেন না ৷ তাদের বিষয়টি আলাদা ৷ তবে চেষ্টা করলে আপনিও রাতে রুটি খেতে পারবেন ৷
রুটিতে যেহেতু ফ্যাট থাকে না ৷ তাই রুটি খেলে ফ্যাট অর্থাৎ চর্বির আধিক্য হওয়ার সম্ভাবনা কমে ৷ রুটিতে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স নামক উপাদান কম থাকায় রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে৷ যা ডাইবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই উপকার ৷ তাই অবশ্যই সুগারের রোগীরা রাতের মেনুতে রুটি রাখুন ৷
শরীর গঠনে যে সকল ভিটামিন ও খনিজের দরকার হয় তার সিংহভাগ রুটিতে থাকে ৷ তাই রোজ রাতে রুটি খেলে সেগুলি শরীরে সহজেই প্রবেশ করতে পারে ৷ রাতে নিয়মিত রুটি খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রন, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগের আশঙ্কা কম থাকে ৷
রুটিতে থাকে ফাইবার ৷ যা আমাদের শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়৷ ফলে বদ হজম, গ্যাস, অম্বল, বুক জ্বালার মতো শারিরীক সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায় ৷ তাই আর বেশি চিন্তা না করে রাতের মেনুতে নিয়ে আসুন রুটি ৷ আর সুস্থ থাকুন ৷