ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-বেল্লাল খান, রাকিব খান টিটুল, মোঃ আঃ হান্নান, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ সোহাগ ও মোঃ খোরশেদ আলম। এ সময় তাদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি, ২০২১) থেকে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, তুরাগ ও পল্টন থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি, ২০২১) বেলা ১২.০০ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ ওয়ালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাজ চক্রটি তিনটি গ্রুপে কাজ করতো। তাদের প্রথম গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টেলিফোন গাইড, ডিরেক্টরি বই ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নামিদামী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে। টার্গেটকৃত নাম্বারগুলো দ্বিতীয় গ্রুপের সদস্যদের নিকট প্রেরণ করে। এই গ্রুপের সদস্যরা টার্গেটকৃত মোবাইল ও টেলিফোন নাম্বারে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য পরিচয় দিয়ে ফোন করে। তাদের সংগঠনের কয়েকজন সদস্য জেল হাজতে আটক আছে, তাদের জামিন করতে ও সংগঠন পরিচালনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন বলে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা প্রেরণের জন্য বিকাশ, নগদ রকেট এ্যাকাউন্ট প্রেরণ করে। টাকা না দিলে তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। ভুক্তভোগীরা তাদের ভয়ে বিভিন্ন সময় তাদেরকে উল্লেখিত এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠায়। এই চক্রের তৃতীয় গ্রুপের সদস্যরা তাদের এ্যাকাউন্টে ভিকটিমের প্রেরিত টাকা সংগ্রহ করে।
প্রসঙ্গত, গোয়েন্দা সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের কাছে চাঁদাবাজির শিকার একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন যে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেভেন স্টার গ্রুপের সদস্য মালিবাগের জিসান মাহমুদ হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা সংগঠন পরিচালনার জন্য ভিকটিমের নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভিকটিম উক্ত বিষয়টি গুরুত্ব না দিলে চাঁদাবাজরা তাকে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে অপহরণ ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। ভিকটিম ভয়ে তাদের দেয়া বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং এ্যাকাউন্টে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। টাকা পাওয়ার পর চাঁদাবাজরা তার কাছে আরও মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তাদেরকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রুজু হয়েছে।