লন্ডনের শিপিং বিষয়ক গণমাধ্যম লয়েডস’র জরিপের ভিত্তিতে শীর্ষ বন্দরের একটি তালিকা করেছে। সে তালিকায় ৪০০ বন্দরের মধ্যে সপ্তমস্থানে উঠেছে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম বন্দর। আফ্রিকা-এশিয়ার সেরা ৭ কনটেইনার অপারেটরের তালিকায় স্থান পেল চট্টগ্রাম বন্দর। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বাইয়ের জওহরলাল নেহরু বন্দর।
মঙ্গলবার রাতে দুবাই শহরে এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবালকে পুরস্কার তুলে দেয় লয়েডস। লন্ডন থেকে টেলিফোনে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, এক মাস আগে চট্টগ্রাম বন্দরকে এ তথ্য জানিয়ে ছিলো লয়েডস। এরই ধারাবাহিকতায় এ স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বের ১০০ সমুদ্রবন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৭১তম অবস্থানে আসে এই বন্দর।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের ১০০ টি সমুদ্র বন্দরের তালিকায় গত ৭ বছরে ২৭ ধাপ এগিয়ে এসেছে বন্দরটি। বেস্ট পোর্ট অপারটের হিসেবে খুবই সম্মানজনক অবস্থানে আসায় ঢাকায় জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে শিপিং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আগামীতে এ অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হবে। তবে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) বি ক্যাটাগরির নির্বাচন শেষে নৌ-পরিবহণমন্ত্রী দেশে এলেই অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ ও স্থান ঠিক করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান আরো জানান, আফ্রিকা-এশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি পরিচালিত ৪শ কন্টেইনার হ্যালিং পোর্টের মধ্য থেকে শীর্ষ ৭ বন্দরের তালিকা করা হয়েছে। এটি শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের নয় বাংলাদেশের মানুষের স্বীকৃতি।
তিনি আরো বলেন, লয়েডস বেস্ট পোর্ট অপারেটর নির্বাচনের ক্ষেত্রে বন্দরের প্রবৃদ্ধি ও কন্টোইনার হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটিসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করেছে। তিনি ৩ ডিসেম্বর দেশে ফিরে একটি প্রেস ব্রিফিং করবেন বলে জানান।
‘লয়েডস লিস্ট’ অনুযায়ী, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ২০১৬ সালে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার একক কনটেইনার ওঠানামা করেছে। এর আগের বছরের চেয়ে কনটেইনার ওঠানামায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে ২০ লাখ ২৪ হাজার একক ওঠানামা করে লয়েডস লিস্ট তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৭৬তম। আর ২০১৪ সালে ১৭ লাখ একক ওঠানামা করে অবস্থান ছিল ৮৭তম। ২০১৩ সালে ছিল ৮৬তম এবং ২০১২ সালে ছিল ৯০তম, আর ২০০৯ সালে এই অবস্থান ছিল ৯৮তম।