সাঁতারুরাও দারুণ খুশি। আল আমিন নামের এক নতুন সাঁতারু মিরপুরের ক্যাম্পে হাজির হয়েছে অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে, ‘আমার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক পদক, এ জন্যই আমি কোরীয় কোচের কাছে ট্রেনিং করতে এসেছি। টানা ট্রেনিং করলে অবশ্যই একদিন আমি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। ’
‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’—এই ব্যানারে সাঁতার ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী মিলে দেশব্যাপী খুদে সাঁতার প্রতিভা খোঁজার কাজ করেছে। এই প্রগ্রামের সুফল হলো ৬০ জন খুদে সাঁতারু। তাঁদের মধ্য থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু বের করাই ফেডারেশনের লক্ষ্য। চার মাস পর তাঁদের নিয়ে গত ৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ট্রেনিং প্রগ্রাম।
তবে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ৪৮ জন, পরীক্ষার কারণে যোগ দিতে পারেননি বিকেএসপির ১২ জন সাঁতারু। কোরীয় কোচ পার্ক তে গুনের নেতৃত্বে এই সাঁতারুদের নিয়ে কাজ করছেন চার কোচ। বাকিরা হলেন কোরীয় মহিলা কোচ চই সেরম, কারার ছামেদুল ও রিপন হামিদ। এই কোচরা প্রতিদিন তিন বেলা করে কাজ করছেন সাঁতারুদের নিয়ে। পার্ক এখনই উঠতি সাঁতারুদের নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না, ‘কেবল অনুশীলন শুরু হয়েছে, কারো সম্পর্কে বিশেষ মন্তব্য করার সময় আসেনি।
তবে এখানকার সব সাঁতারুই প্রতিভাবান, কয়েকজন আছে দারুণ প্রতিভাবান। দুই মাস কাজ করার পর তাদের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে আমি বলতে পারব কে কোন অবস্থায় আছে। ’
তবে একসময়ের তারকা সাঁতারু কারার ছামেদুল বেশ উচ্ছ্বসিত। এই দেশি কোচ মনে করেন আগামী এসএ গেমসেই দীর্ঘমেয়াদি ট্রেনিংয়ের ফল পাওয়া যাবে, ‘উঠতি সাঁতারুদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। কিছু সাঁতারু যেমন হাকিম মিয়া, সজীব মিয়া, আল আমিন, মামুনুর রশীদসহ অনেকের শারীরিক গড়ন খুব ভালো, আদর্শ সাঁতারুর মতো। এই বয়সেই তাদের পা আমার মতো লম্বা, সাঁতারের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া ট্রেনিংয়ে তারা খুব মনোযোগীও। আশা করি, আগামী এসএ গেমসে তাদের দিয়েই আলোড়ন তুলবে বাংলাদেশ। ’
এই ক্যাম্পে ১১ বছর থেকে শুরু করে ১৯ বছরের সাঁতারুদের রাখা হয়েছে। ফেডারেশনের আপাত পরিকল্পনা হলো, এই সাঁতারুদের নিয়ে তিন বছরব্যাপী ট্রেনিং করানো। ট্রেনিং এবং কম্পিটিশন—দুটি একসঙ্গে চলতে থাকলে স্পষ্ট হয়ে যাবে তাঁদের উন্নতি।