প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে তাঁর বাণীতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখীসমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলায় বেতার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেতার শ্রোতা, সম্প্রচার কর্মী, শিল্পী, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ক্রীড়াঙ্গণে বেতার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গর্বিত উত্তরাধিকার বাংলাদেশ বেতার দেশের বৃহত্তম এবং অন্যতম শক্তিশালী গণমাধ্যম। বাংলাদেশ বেতার সূচনালগ্ন থেকে দেশ, সমাজ ও সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ ও অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের বলিষ্ঠ ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছে।
জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করে আমরা তথ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছি। আমরা দেশে সর্বপ্রথম জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাসহ তথ্য অধিকার আইন প্রণয়র ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। বেসরকারিখাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’