সোমালিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ও শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে দুই দফা হামলা চালানো হয় বলে পেন্টাগনের আফ্রিকা কমান্ড নিশ্চিত করেছে।
আফ্রিকার এই দেশে আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে এটাই মার্কিন বাহিনীর প্রথম বিমান হামলা। সোমালীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে চালানো এই বিমান হামলায় ‘বেশ কয়েকজন’ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। “মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা এবং সন্ত্রাসীদের হুমকি অকার্যকর করতে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী অনুমোদিত ও উপযুক্ত সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে,” বিবৃতিতে বলেন তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে আইএস আফ্রিকায় তাদের কার্যক্রম ও সদস্য সংগ্রহের গতি বাড়িয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমালিয়ায় আইএসের সদস্য সংখ্যা কত তা স্পষ্ট নয়; সোমালিয়াসহ আফ্রিকার ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে তৎপরতা চালানো জঙ্গি সংগঠন আল-শাবাবের তুলনায় এর পরিধি অত্যন্ত সীমিত। একসময় সোমালিয়ার বিশাল অংশ দখলে নেওয়া আল-শাবাব মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার মিত্র, যাদের সঙ্গে আইএসের বিরোধ প্রকাশ্য।
গত মাসে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে ভয়াবহ জোড়া বোমা হামলায় সাড়ে তিনশর বেশি মানুষ নিহত হন। এই হামলার জন্য আল-শাবাবকেই দায়ী করা হচ্ছে। শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করে সোমালিয়ায় কট্টর ইসলামি শাসন চালুর লক্ষ্যে প্রায়ই এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকে আল-শাবাব।
সোমালিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এখনো তুমুল শক্তিধর আল-শাবাবের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার ঘটনা বিরল। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে সোমালিয়ায় আল-শাবাবের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে হোয়াইট হাউস নিজেদের সেনাবাহিনীকে বিস্তৃত ক্ষমতা দিয়েছে।