সোরিয়াসিস হলে মাছের আঁশের মতো শরীর থেকে চামড়া ওঠতে থাকে। এই জটিল ধরনের চর্মরোগ কেন হয়, এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক রাশেদ মোহাম্মদ খান। অধ্যাপক রাশেদ মোহাম্মদ খান বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বিশ্ব সোরিয়াসিস দিবসে আপনারা রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কী বার্তা দিচ্ছেন?
উত্তর : সোরিয়াসিস রোগটি নিরাময় হয় না। তবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। আমরা খুব ভালো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি একে। কিছু কিছু নিয়ম যদি মেনে চলি আমরা, তাহলে কিন্তু একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আমরা যদি বলি কেন সোরিয়াসিসটা হয়? এর মধ্যে তিনটি জিনিস আমরা বলি। একটি হলো জিনগত বা বংশগত। এরপর হলো অটো ইমিউনিটি। আমাদের শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, এর একটি বিচ্যুতি ঘটে। আর কিছু বলি পরিবেশগত বিষয়। এই পরিবেশগত বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে যদি বলি, তাহলে একটি হলো স্থূলতা। যত স্থূল হবে, সোরিয়াসিস তত বাড়বে। তাই ওজন কমিয়ে রাখতে হবে। এরপর হলো ট্রমা (দুর্ঘটনা)। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা। ছিলে গেল, পুড়ে গেল, ব্যথা পেল, রোদে পুড়ে গেল। এই ধরনের পরিবেশগত দুর্ঘটনা কিন্তু সোরিয়াসিসকে বাড়ায়। তাই দুর্ঘটনা থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে। খবর এনটিভি।
তারপর ধূমপান সোরিয়াসিসকে বাড়ায়; মদ্যপান সোরিয়াসিসকে বাড়ায়। অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে, রোগী খেতে পারবেন না। খেলে সোরিয়াসিস বাড়বে। অনেকে ব্লাড প্রেশার হলে বিটা ব্লকার নেয়, এটি সোরিয়াসিস বাড়ায়। এরপর লিথিয়াম, যাদের মানসিক রোগ রয়েছে, তারা এটি গ্রহণ করে- এটি সোরিয়াসিস বাড়ায়। এনএসএ আই ব্যথানাশক যে ওষুধগুলো সেগুলো রোগ বাড়ায়।
খুব মানসিক চাপ সোরিয়াসিস বাড়ায়। মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা করতে হবে। দরকার হলে ওষুধ খেতে হবে।