ডিএমপি নিউজ: হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার দায়ে সেলু মিয়া ওরফে আলমগীর (৩০) নামে এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
১ অক্টোবর, ২০১৯ দুপুরে নবীগঞ্জ থানার নোয়াগাঁও এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।
বানিয়াচং থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস ডিএমপি নিউজকে বলেন, আটক সেলু মিয়ার সাথে দ্বিতীয় স্ত্রী ফুলবরন নেছার ঝামেলা ও মনমালিন্য হওয়ার প্রেক্ষিতে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর’ ২০১৯ বিজ্ঞ আদালতে মামলার হাজিরা শেষে ভিকটিমদ্বয় বাড়িতে ফিরছিলেন। সেলু মিয়া স্ত্রী ও শাশুড়িকে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে অনুরোধ করেন এবং ভবিষ্যতে দাম্পত্য কলহ এড়িয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাতের অন্ধকারে তাদেরকে কৌশলে খোসাই নদীর চরে নিয়ে যান।
পুলিশ পরিদর্শক প্রজিত কুমার দাস আরও বলেন ভিকটিম মা-মেয়ে নদীর চরে পৌঁছা মাত্র সেলু মিয়ার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাবা ও ভাই মিলে ভিকটিমদের গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা অজ্ঞান হয়ে যান। পরবর্তীতে তাদেরকে দাঁ দিয়ে কুঁপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃত দেহ খোয়াই নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
হবিগঞ্জ জেলা ডিবি সূত্রে জানা গেছে ৫ই সেপ্টেম্বর থেকে মা ও মেয়ে নিখোঁজ ছিলেন। গত ৮ই সেপ্টেম্বর ও ১৯ সেপ্টেম্বর ফুলবরন নেছা (৩৫) ও জামিলা বেগম (৫০) এর মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ।