স্নাতক (পাস) ও সমমান শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৫১ কোটি ২৪ লাখ টাকা উপবৃত্তি বিতরণ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট-এর উদ্যোগে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠান রবিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন এতে সভাপতিত্ব করেন।
স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের দুই লাখ ৭৯ হাজার ২৭২ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে রবিবার ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি বাবদ ১৩৬ কোটি ৮৪ লাখ ৩২ হাজার ৮০০ টাকা এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিউশন ফি বাবদ ১৪ কোটি ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকাসহ সর্বমোট ১৫১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন ১২জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে চার হাজার ৯০০ টাকা করে প্রদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আজকেই প্রত্যেকের হাতে টাকা চলে যাবে। যাদের উপবৃত্তি দেয়া হল, তারা যেন তা পায় এটি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে বৃত্তির পরিমান ও সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম জাকির হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর মফিজ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক নির্দেশনায় অর্থের অভাবে শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টকে ২০১১-২০১২ অর্থবছরে সিডমানি হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা জিওবি থেকে প্রদান করা হয়। এই টাকা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দ্বারা স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদানসহ দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং দুর্ঘটনার কারণে গুরুতর আহত দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।