স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ইরানের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে ঢাকা সফরত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ জাভাদ জারিফের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় ইরানের প্রতিনিধিদলের সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় শুরু হওয়া ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সাক্ষাতকালে তারা সমুদ্র অর্থনীতির টেকসই ব্যবহার, রোহিঙ্গা ইস্যু, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘকালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি ২০১৪ সালে ইরান সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুসলিম উম্মাহ’র উন্নয়নে দু’দেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। স্পিকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইরানের সহায়তা প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সারা দেশে ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে। এ সময় বাণিজ্যের প্রসার, পাট, জ্বালানী, ঔষধ ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়ার খাতে বিনিয়োগের বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ইরানের প্রতি আহবান জানান তিনি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে টেকসই সমুদ্র অর্থনীতিকে উৎসাহিত করার প্রতিও আহবান জানান তিনি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,সমুদ্র অর্থনীতির বিশাল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। তিনি বলেন, ঔষধ ও তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়ার খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইরানের বেসরকারী খাতকে উৎসাহিত করা হবে। জাভাদ জারিফ বাংলাদেশ থেকে পাটজাতপণ্য আমদানীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।