পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, দক্ষ জনবল বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) সরকারের সবচেয়ে পুরোনো গোয়েন্দা সংস্থা। স্পেশাল ব্রাঞ্চের সক্ষমতা বাড়ানোর বড় জায়গা হলো যথাযথ প্রশিক্ষণ।
আইজিপি বলেন, ইমিগ্রেশন অফিসারদের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স ইতোমধ্যেই সক্ষমতা অর্জন করেছে।
সোমবার (৫ নভেম্বর, ২০১৮) বিকেলে আইজিপি রাজধানীর উত্তরায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স এর নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে দক্ষ ও পেশাদার পুলিশ সদস্য তৈরির ক্ষেত্রে একমাত্র বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স।
ড. পাটোয়ারী বলেন, বর্তমানে প্রচলিত অপরাধের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অপরাধ ও সাইবার অপরাধ বাড়ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় গোয়েন্দা কার্যক্রমে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষিত করার বিকল্প নেই। স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স এক্ষেত্রে দক্ষ পুলিশ সদস্য তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আবদুস সালাম, এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলামসহ ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকার উত্তরায় ১১ নম্বর সেক্টর, রোড ১০/এ, প্লট নং-২ এ নিজস্ব ২২.৪৪ কাঠা জমির উপর বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট স্থায়ীভাবে পূর্ণাঙ্গ স্কুল ভবন তৈরী হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫ম তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২য় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স এর প্রতিষ্ঠালগ্নে ১৯৯২ সালে ৮টি কোর্সে মাত্র ২৪৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ২০১৭ সালে ২৫টি কোর্সে ৮০টি ব্যাচে সর্বমোট ২ হাজার ৪১১ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ ভাবে চালু হলে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরো বেগবান হবে।