সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থাসমূহের মধ্যে আজ ২৩ জুন, ২০১৯ তারিখে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির পটভূমি বর্ণনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার রূপকল্প ২০২১’এর যথাযথ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সচেষ্ট। এজন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা একান্ত অপরিহার্য বলে সরকার মনে করে। এ প্রেক্ষাপটে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (Annual Performance Agreement) স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থা পদ্ধতি চালু হয়েছে। উক্ত চুক্তির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমসমূহের বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্থবছর শেষে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।
মন্ত্রী বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মন্ত্রণালয় কি অর্জন করতে চায়, কীভাবে অর্জন করতে চায় এবং কার জন্য অর্জন করতে চায় অর্থাৎ এর সম্ভাব্য উপকারভোগী কারা, সে সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, সরকারের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রাধিকার, বিশেষত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রূপকল্প ২০২১ এবং অন্যান্য কৌশলগত দলিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করা হয়েছে। উক্ত চুক্তি চূড়ান্ত করার পূর্বে খসড়া প্রণয়ন করে সকল দপ্ত/সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন অনেক দক্ষ। আমরা যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। আমরা বিশ্বের সকল দেশের সাথে গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদান করার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি; এখন আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সকল প্রকার সন্ত্রাস, জঙ্গী ও আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন করতে সক্ষম।
মাননীয় মন্ত্রী আরও বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকারী সকল দপ্তর/অধিদপ্তর ও এর মাঠপর্যায়ের অফিসসমূহ জননিরাপত্তা বিভাগ সংক্রান্ত সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গঠনের মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিভাগের মূল ভিশন “নিরাপদ জীবন ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ” গঠন করবে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ভিশন হচ্ছে সুখী সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ সোনার বাংলা। এটিই হল কাঙ্খিত গন্তব্য। সেই লক্ষ্যে পৌছানোর লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।