পল্লীকবি জসীমউদ্দীন আধুনিক শিক্ষিত সমাজের সাথে সাথে পল্লী পাঠকেরও নয়নমণি। বাংলা কাব্য সাহিত্যের ইতিহাসে পল্লী বৃদ্ধের করুণ চিত্র ‘কবর’ কবিতা এক নতুন দিগন্তে পথ তৈরি করে দেয়।
‘কবর’ কবিতার প্রধান চরিত্র, বৃদ্ধের জীবন বাস্তবের রূপকে আমরা দেখতে পাই সাংসারিক প্রেমের নিয়তি নিহত আরক্তিম মূর্তি। সংসারে সে ভালোবাসার ঘর বেঁধে সুখী হতে চেয়েছিল। সুখের স্পর্শও সে পেয়েছিল।
কিন্তু সে সৌভাগ্যের উপর চরম দুঃখের বজ্রাঘাত নেমে এসেছিল তার জীবনে। তারই চোখের সামনে একের পরে এক মৃত্যুর হাত ধরে বিদায় নিয়েছে তার প্রেমময়ী স্ত্রী, উপযুক্ত পুত্র, লক্ষ্মী পুত্রবধূ, আদরের নাতনী, স্নেহের পুতুলী মেয়ে, শুধু ভালোবাসার এই স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্যই বোধহয় বেঁচে রইল বংশের একমাত্র প্রদীপ নাতিটি। যা ‘কবর’ কবিতায় সুনিপুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পল্লী কবি ।
এবার পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। কবিতার নাম শিরোনামেই নির্মিত চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রাশিদ পলাশ। আর পান্ডুলিপি করেছেন ফেরারী ফরহাদ।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এক ঝাঁক তারকা অভিনয় শিল্পী। চলচ্চিত্রে কবিতার দাদু চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, নাতি চরিত্রে মাহিবি জাহান, দাদি চরিত্রে নওশাবা, ছেলের চরিত্রে শিমুল খান, ছেলের বউয়ের চরিত্রে চম্পা, আর বুজি চরিত্রে সাদিয়া রহমান।
‘কবর’ কবিতাটি সম্পর্কে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) এর কর্ণধার ধ্রুব গুহ বলেন- ‘কবর’ আসলে প্রচুর মানুষের দেখা একটা গল্প। যারা আমরা কবিতাটি পড়েছি, প্রত্যেকেই নানাভাবে এটি আমাদের কল্পনায় দেখেছি। কবিতাটি কবির খুবই আবেগপ্রবণ একটি সৃষ্টি। কবিতায় রঙিন চোখ দিয়ে একটা সাদাকালো গল্প দেখি আমরা, শোকের গল্প। অথচ: কবিতাটি নিয়ে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ হয়নি। তাই প্রিয় কবির জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই আমারা ডিএমএস এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কবর’ প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
গত ১লা জানুয়ারী পল্লী কবির জন্মদিন উপলক্ষে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘ধ্রুব টিভি’ তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কবর’।